Headlines
Loading...
দীর্ঘজীবন লাভের উপায় (পর্ব-৪) : হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রত্যক্ষ কারণ

দীর্ঘজীবন লাভের উপায় (পর্ব-৪) : হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রত্যক্ষ কারণ

ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রকৃত কারণ এবং প্রতিরোধের উপায় জানার মাধ্যমে


দীর্ঘজীবন লাভের উপায়


হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রত্যক্ষ কারণ
হৃদরোগকে হার্ট ব্লকেজও বলা হয়, এটা সবার জানা কথা। হার্ট ব্লকেজ কী? হার্ট বা হৃৎপিন্ড কেন ব্লক্ড হয়? কীসের দ্বারা ব্লক্ড হয়? এ প্রশ্নগুলোর উত্তরের মধ্যেই উপরের দু’টি প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।
হৃৎপিন্ডের ধমনীতে কোলেস্টেরল বা চর্বি জমে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে হৃৎপিন্ডে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় এবং বুকে ব্যথাসহ হৃদরোগের নানা উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকে প্রথম বার হার্ট অ্যাটাকেই মারা যায়। ভাগ্য সহায় থাকলে অনেকে চিকিৎসা পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
হৃৎপিন্ডে এভাবে কোলেস্টেরল বা চর্বি বৃদ্ধি হওয়াজনিত কারণে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়াই হার্ট ব্লকেজ। যেসব মানুষের শরীরে চর্বি জমতে পারে না, সব সময় শারীরিক পরিশ্রমের কাজে জড়িত থাকার কারণে, তাদের হৃৎপিন্ড তাই কোনো রকম ব্লকেজের সম্মুখীন হয় না। এরকম মানুষগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে সব সময় নিরাপদ থাকে। যে কোনো কারণে যতো মানসিক অস্থিরতা এদের জীবনে আসুক না কেন, এরা কখনো হার্ট ব্লকেজ বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয় না।
যেসব মানুষের শরীরে চর্বি বেশি, তারা কোনো রকম শারীরিক পরিশ্রমের সাথে সম্পর্ক না রাখলে বা কম রাখলে কোনো রকম টেনশন না করলেও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়। শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকা এবং শারীরিক পরিশ্রম না করাই হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রত্যক্ষ কারণ। এই দু’টো বৈশিষ্ট্য যাদের, তারা শুধু টেনশন করলে নয়, বেশি আনন্দ করলেও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে খেলার একেবারে শেষ দিকে আর্জেন্টিনা যখন জয়সূচক গোল করে, তখন অতি আনন্দে জয়োল্লাস করতে গিয়ে আর্জেন্টিনার এক বাংলাদেশী সমর্থক চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান। এসময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পরদিন ২৭ জুন ২০১৮ তারিখের দৈনিক সমকালে সংবাদটি ‘জয়োল্লাস করতে গিয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থকের মৃত্যু’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এসব মানুষ বেশি জোরে হাঁটলে বা বেশি পরিশ্রমের কোনো কাজ করলেও হাঁপিয়ে উঠে, কারো কারো তাৎক্ষণিক বুকব্যথা শুরু হয়ে যায় টেনশন না করলেও।

সুতরাং হার্ট অ্যাটাকের জন্য টেনশন প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নয়। মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হলে যে কোনো সময় মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে, টেনশন করলেও, না করলেও। যদি দেখা যায় কোনো বিষয়ে বেশি টেনশন করার কারণে কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়, তখন টেনশনকে তার হার্ট অ্যাটাকের প্রত্যক্ষ কারণ বলা যাবে না। প্রত্যক্ষভাবে দায়ী হচ্ছে কোলেস্টেরল বেশি হওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রমহীনতা। যেভাবে কারো শরীরে এলার্জি দেখা দেয়ার পর এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয় যেগুলো খেলে এলার্জি মারাত্মক রূপ ধারণ করে, কিন্তু সেসব খাবার খাওয়া তার এলার্জিতে আক্রান্ত হবার জন্য দায়ী নয়।

সুতরাং হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হবার জন্য টেনশন প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নয়, প্রত্যক্ষভাবে দায়ী হচ্ছে, শরীরে চর্বি বা কোলেস্টেরল বাড়তে দেয়া, শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে আরামে আরামে থাকা, মোটা হওয়া, বেশি বেশি খাওয়া ইত্যাদি। যদি সব কারণ বাদ দিয়ে শুধু একটি কারণকে দায়ী করতে হয়, তাহলে দায়ী করতে হবে পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করাকে। কারণ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করলে মানুষ কম খেলেও শরীরে চর্বি জমে যায়।
ঠিক এরকম, যে বৈশিষ্ট্যের লোকগুলোর হার্ট অ্যাটাক হয়, একই বৈশিষ্ট্যের লোকেরই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস হয়। এ সম্পর্কে পরে আরো বিস্তারিতভাবে আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করা হবে।

অধিকাংশ সময় দেখা যায়, যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে, তারাই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। মানসিক টেনশন এসব রোগে আক্রান্ত হবার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নয়। মানসিক টেনশনের সাথে এসব রোগের সম্পর্ক হচ্ছে, যেসব লোক শারীরিকভাবে স্থুল, ভোজনরসিক, আরামপ্রিয় বা কায়িক শ্রমহীন, শরীরে চর্বি-কোলেস্টেরল বেশি, তারা টেনশন করলে দ্রুত এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। টেনশন না করলেও এসব রোগ থেকে রক্ষা পান না।

দু’টি বিষয় লক্ষ্য কর বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে- ১. আমাদের আশপাশে খুঁজলে দেখা যাবে, ব্যক্তিগত জীবনে যারা বেশ সুখী, কোনো বিষয় নিয়ে তেমন কোনো টেনশন নেই, পাশাপাশি শারীরিকভাবে স্থুল, খাওয়া-দাওয়ায় সংযম নেই, শারীরিক পরিশ্রমের কোনো কাজের সাথেও সম্পর্ক নেই, শরীর মেদ-চর্বিতে ভরপুর, তারা ব্যাপকহারে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ২. অন্যদিকে কায়িক পরিশ্রমের কাজই যাদের পেশা, অভাবের কারণে ভালো ভালো খেতে পারেন না সব সময়, শরীরে মেদ-চর্বি জমারও সুযোগ নেই, চিকন শরীর, এমন মানুষদের জীবনে যতো টেনশনেই থাকুক, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং ডায়াবেটিস থেকে এরা মুক্ত থাকে। এই দু’টি বিষয় একটু ভালোভাবে চিন্তা করলেই আশা করি সবাই রোগগুলোর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবে।

মানুষের জীবনে কমবেশ টেনশন থাকেই। টেনশন নেই, এমন মানুষের সংখ্যা কম। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এসবে আক্রান্ত হবার জন্য নিয়মিত কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম না করাকে দায়ী না করে টেনশনের ওপর সব দোষ চাপানো হলে এসব রোগের আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে আমরা কখনোই নিরাপদ হতে পারবো না।

বংশগতভাবেও কি উচ্চ রক্তচাপ হয়?

‘উচ্চ রক্তচাপে করণীয়’ শিরোনামে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখের দৈনিক যুগান্তরে একটি নিবন্ধ দেখলাম, যা লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। লেখাটিতে উচ্চ রক্তচাপের কারণ সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না, একে প্রাইমারি বা অ্যাসেন্সিয়াল রক্তচাপ বলে।’

বিবিসি বাংলায় ১৭ মে ২০১০ তারিখে প্রকাশিত ‘উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্ত চাপের কারণ সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়না, বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান উচ্চ রক্তচাপকে বংশগত বিষয় হিসেবেই দেখে থাকে।’

‘উচ্চ রক্তচাপ বংশগত কারণে হয়’, এমন অভিমত ব্যক্তকারী সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আমার মনে হয় অভিমতটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা-পরিপন্থী। কোনো ডাক্তার বলতে পারবেন না, তার কোনো ভুল নেই। ডাক্তারদের হাতেই ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগী প্রায়ই মারা যায় বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেক রোগীই প্রথমে একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনেক সময় সঠিক চিকিৎসা পায় না। পরে অন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে সুচিকিৎসা পায়। এজন্য কোনো ডাক্তার এটা জোর দিয়ে বলতে পারবেন না, তার ধারণায় কোনো ভুল নেই। অনেক গবেষণাও অন্য আরেক গবেষণায় ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ? অনেক গবেষণা পদ্ধতি ভুল পন্থায় পরিচালিত হয়। এই লেখায় এ সম্পর্কে আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করা হবে।

যারা মনে করছেন, ‘৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না’ বা ‘উচ্চ রক্তচাপ বংশগত বিষয়’, তাদের অভিমত সম্পর্কে আমি কোনো মন্তব্য না করে সবাইকে বাস্তবতার সাথে তাদের অভিমতটিকে মিলিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায়, শারীরিক পরিশ্রমের কাজে যারা বেশি বেশি সময় দেন, যারা চিকন এবং যাদের শরীরে চর্বি বাড়তে পারে না, তাদের তেমন কারোই উচ্চ রক্তচাপ নেই। পক্ষান্তরে যারা শারীরিক পরিশ্রমের সাথে সম্পর্কহীন বা সম্পর্ক কম রাখেন, শরীরে চর্বি-কোলেস্টেরল বেশি এবং দীর্ঘদিন ধরে মোটা, তাদের অধিকাংশই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। সুতরাং ‘৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণ অজানা’ নয়, বরং প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণ দিবালোকের মতো পরিষ্কার। আর তা হলো মুটিয়ে যাওয়া, ক্ষুধা লাগতে না লাগতেই পেটভরে খাওয়া ও শারীরিক পরিশ্রম তেমন না করে আরামপূর্ণ জীবন যাপন করা।

‘উচ্চ রক্তচাপে করণীয়’ লেখাটিতে লেখক উচ্চ রক্তচাপের কারণ হিসেবে বংশগত ধারাবাহিকতার কথাও বলেছেন। কথাটি আমরা বাস্তবতার সাথে একটু মিলিয়ে দেখি। পঞ্চাশ বছর বয়সী একজন লোকের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিল। সে ভাবতে লাগলো, কোত্থেকে, কেন তার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিল? পরিচিত কারো সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করলো। জানতে পারলো, উচ্চ রক্তচাপ বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। সে তৎক্ষণাৎ মিলিয়ে দেখলো, তার বাবা/মাও শেষ বয়সে উচ্চ রক্তচাপে ভুগেছেন। সে তখন নিশ্চিত হয়, ঠিক আছে, আমার উচ্চ রক্তচাপ বংশগত কারণেই হয়েছে।

আমাদের সরল চিন্তা। খুব সহজেই আমরা অনেক সমীকরণ মিলিয়ে ফেলি। কিন্তু অনেক সময় বড় ধরনের ফাঁক যে থেকে যায়, সেদিকে লক্ষ্য করি না। কাল্পনিক এ লোকটির মতো আমরা অনেকেই উচ্চ রক্তচাপকে বংশগত রোগ মনে করি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, বাবা-মা কারো উচ্চ রক্তচাপ না থাকলেও এখন অনেকে নিজের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার জন্য বংশগত কারণকেই দায়ী মনে করেন!
এবার আসি বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখার কথায়। যে লোকটি নিজের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার জন্য নিজের বাবার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়াজনিত কারণকে দায়ী করলো, সে কি ভেবে দেখেছে, তার বাবা কত বছর বয়সে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছে? সে যদি বিষয়টা ভাবতো, দেখতো, তার বাবা হয়তো উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছে ষাট বা সত্তর বছর বয়সে (কারণ প্রথম প্রথম অধিকাংশ মানুষ ষাট-সত্তর বছর বয়স পার হলেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতো), তার জন্মের অনেক অনেক বছর পর। অর্থাৎ লোকটি যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন তার বাবার উচ্চ রক্তচাপ ছিল না। তার জন্মের সময় যে রোগ তার বাবার ছিল না, তার জন্মের অনেক বছর পর তার বাবার শরীরে দেখা দেয়া রোগটি তার শরীরে সংক্রমিত হলো কী করে?! এমনও হতে পারে, লোকটির বয়স যখন পঞ্চাশ, লোকটির বাবা হয়তো তখন জীবিতও নেই, তখন তার বাবার উচ্চ রক্তচাপ তার শরীরে সংক্রমিত হলো কী করে?! এটা কি সত্যিই সংক্রমণ? কেমন সংক্রমণ? বংশগত? বায়ুবাহিত? পানিবাহিত?!
শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, ডায়াবেটিসকেও মানুষ বংশগত রোগ মনে করে ঠিক একই রকমভাবে। একজন লোকের বাবা বৃদ্ধ বয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলো। বাবা মারা যাবার পর যখন তার ডায়াবেটিস দেখা দিলো, সে ধরে নিলো, তার বাবার ডায়াবেটিস থাকার কারণেই তার ডায়াবেটিস হয়েছে। লোকটির বাবা যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার আগে অন্য কোনো রোগ বা দুর্ঘটনায় মারা যেতো, তাহলে লোকটি (সন্তান) আর ডায়াবেটিস হতো না, এটা কি নিশ্চিত? একটা কথা মনে রাখলে কেউ এরকম বিভ্রান্তিতে পড়বে না, সন্তানের শরীরে বাবা-মায়ের শরীর থেকে ঐ সমস্ত রোগ সংক্রমিত হতে পারে, যেসব রোগ সন্তান গর্ভধারণের সময় বা সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর সময় বাবা-মায়ের শরীরে থাকে। সন্তান জন্ম ও সন্তানকে দুধ খাওয়ানো শেষ হবার পর বাবা-মা যদি কোনো রোগে আক্রান্ত হয়, সে রোগ সন্তানের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে না।
লবণ খেলেও উচ্চ রক্তচাপ হয় বলে অনেকে বলে থাকেন বা মনে করেন। এ সম্পর্কে আলাদা অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

Occupation: Teaching, Hobbies: Writing

0 Comments: