দীর্ঘজীবন লাভের উপায় (পর্ব-৪৪) : একটি পরিসংখ্যান বলে দেবে ধূমপান যে সত্যিই ক্ষতিকর নয়
ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রকৃত কারণ এবং প্রতিরোধের উপায় জানার মাধ্যমে
দীর্ঘজীবন লাভের উপায়
একটি পরিসংখ্যান বলে দেবে ধূমপান যে সত্যিই ক্ষতিকর নয়
আমার একটা অভ্যেস, কোনো কিছু নিয়ে মানুষ যা বলে, তা শুধু শুনেই আমি বিশ্বাস করতে রাজি নই। সাধ্যমতো খুঁজে দেখি, বাস্তবতার সাথে মানুষের কথার কতটুকু মিল-অমিল। মানুষের অনেক কথাই বাস্তবতার সাথে মিলে যায়, কিন্তু সব কথার মিল আমি বাস্তবতার সাথে খুঁজে পাই না। এরকম একটা বিষয় হচ্ছে, ধূমপানের ব্যাপকপ্রচারিত বহুমুখী ক্ষতি। আমার এ ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে এ পর্যন্ত অনেক কথা লেখা হয়ে গেলো। নিরপেক্ষ মন নিয়ে যারা পড়েছেন কথাগুলো, তারা অনেকেই আমার কথাগুলোকে চোখ বন্ধ করে ফেলে দিতে পারবেন না। কথাগুলো হজম করতে এখনো যাদের কষ্ট হচ্ছে, তাদের জন্য একটা পরিসংখ্যান উল্লেখ করছি।
দৈনিক ২০ বা তার চেয়ে বেশি সিগারেট খান, অনেকেই এমন অসংখ্য মানুষ তাদের পরিচিতজনদের মধ্যে খুঁজে পাবেন। এমন অনেক মানুষও অনেকে খুঁজে পাবেন, যারা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে দৈনিক ২০ টির বেশি সিগারেট খেয়ে আসছেন। এরকম একজন লোক যদি দৈনিক ২৫টি সিগারেট খান, তাহলে মাসে তার সিগারেট খাওয়া হয় ৭৫০টি, বছরে খাওয়া হয় ৯০০০ টি। তাহলে ত্রিশ বছরে তার কতগুলো সিগারেট খাওয়া হয়? ২,৭০,০০০ (দুই লক্ষ সত্তর হাজার) টির মতো! দুই লক্ষ সত্তর হাজার সিগারেট খাওয়ার পরও একজন লোক ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকাটাও হতো অতি অলৌকিক বিষয়, সুস্থ থাকা দূরের কথা, যদি যে ক্ষতিগুলোর জন্য ধূমপানের ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়, বাস্তবেই ধূমপানের কারণে মানুষের সেসব ক্ষতি হতো! অথচ ৩০ বছর ধরে নয়, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দৈনিক ২০টির বেশি সিগারেট খাওয়া অসংখ্য মানুষ শুধু বাংলাদেশেই (বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১৬ কোটির বেশি) পাওয়া যাবে, যারা, যে রোগগুলোর জন্য ধূমপানকে দায়ী করা হয়, সে রোগগুলো থেকে পুরোপুরি মুক্ত! আর যারা ক্যান্সারের জন্য ধূমপানকে দায়ী করেন, ‘ধূমপান ক্যান্সারের কারণ’ বলে প্রচার করেন, তারা তাদের ধারণা পাল্টাতে কোনো আপত্তি করবেন না, যদি দেখেন বাংলাদেশে হাজার হাজার ধূমপায়ী আছেন, যারা ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ধূমপান করে আসছেন, অথচ এখনো ক্যান্সারে আক্রান্ত হননি! কারণ যেভাবে ধূমপানে ক্যান্সার হয় বলে প্রচার করা হয়, চল্লিশ বছর পর্যন্ত যেতে হবে না, পাঁচ-ছয় বছর ধূমপান করলেই মনে হয় মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়বে!
আমাদের বাড়ির দু’তিন বাড়ি দক্ষিণের এক বাড়ির আবুল খায়ের নামক একজন লোকের কথা একটু আগে বলেছিলাম, যিনি ৪৪ বছর ধরে ধূমপান এবং তামাক সেবন উভয়টাই করছেন। তিনি দৈনিক ১৫ টির মতো করে সিগারেট খান, তবু এখনো বেঁচে আছেন! তাঁর কি ক্যান্সার হয়ে আরো অনেক আগে মরে যাবার কথা ছিল না?! হিসেব করে দেখেছি, ৪৪ বছর ধরে তিনি ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬০০ টির মতো সিগারেট খেয়েছেন। এরকম আরো অনেক লোক শুধু আমার জানাশোনাতেই আছে। উদাহরণ বেশি দিলে অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন বলে আর কারো কথা উল্লেখ করলাম না। নিজের পরিচিতদের মধ্যেই সবাই এরকম অসংখ্য লোক খুঁজে পাবেন।
জীবনে তিন লক্ষের মতো সিগারেট খেয়েছেন, এমন হাজার হাজার লোক বাংলাদেশেই খুঁজে পাওয়া যাবে। সারা বিশ্বে এমন লোকের সংখ্যা তো কোটির ঘরেও পৌঁছে যেতে পারে। যারা বিশ্বাস করছেন, ‘ধূমপানে ক্যান্সার হয়’; ‘ধূমপান মৃত্যু ঘটায়’, তারা কি বলতে পারবেন, তিন লক্ষ সিগারেট খাওয়া পর্যন্ত একজন ধূমপায়ী বেঁচে থাকে কিভাবে?! বেঁচে থাকে, এটাই সত্য। বেঁচে থাকে এজন্য, ধূমপান যে ক্ষতিগুলো করে বলে সবাই মনে করে, বাস্তবে ধূমপান সে ক্ষতিগুলো করে না। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে এতো গবেষণা, এতো সতর্কবার্তা, সবই কি ভুল? ভুল হতে পারে, কারণ ‘ভুল করা মানবীয় বৈশিষ্ট্য’। পৃথিবীর অনেক সত্য একটা সময় এসে ভুল প্রমানিত হয়, আবার অনেক ভুল একটা সময় এসে ভেঙ্গে যায়।
৪৫তম পর্ব:
https://waytogainlonglife.blogspot.com/2022/09/blog-post_98.html
0 Comments: